আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জম্মু কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের নির্বাহী প্রধান ওমর আবদুল্লাহ জম্মু কাশ্মিরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনাল কনফারেন্সের নির্বাহী প্রধান ওমর আবদুল্লাহ উত্তর প্রদেশের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সম্পর্কে মন্তব্য করে বলেছেন, উনি চাইলে সব মসজিদের ভিতরে একটি করে মন্দির তৈরি করতে পারেন।
শনিবার ওমর বলেন, ‘বিজেপি এমন একজনকে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী করেছে যিনি একবার বলেছিলেন, ‘সুযোগ পেলে আমরা প্রতিটি মসজিদের ভিতরে গৌরী, গনেশ, নন্দীর মূর্তি বসাবো।’
২০১৫ সালে আদিত্যনাথ বলেছিলেন, ‘যদি অনুমতি পাই তাহলে দেশের প্রত্যেকটা মসজিদে গৌরী-গণেশের মূর্তি স্থাপন করে দেব। আর্যাবর্তে আর্যরা তৈরী হয়েছিলেন, হিন্দুস্তানে আমরা হিন্দু করে দেব। গোটা বিশ্বে গেরুয়া পতাকা উড়বে।’
২০১৬ সালে তিনি বলেন, ‘অযোধ্যায় বিতর্কিত কাঠামো ভেঙে ফেলা কেউ আটকাতে পারেনি তাহলে মন্দির তৈরি করতে কে বাধা দেবে?’ ওমর আবদুল্লাহ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করে বলেন, উত্তর প্রদেশে বিজেপি যাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিল, তিনি সবসময় বিদ্বেষ ছড়িয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘বিজেপির ওই মুখ্যমন্ত্রী গোটা দেশকে জুড়তে নয়, বরং খুব শিগগিরি গোটা দেশকে বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারেন।’যোগী আদিত্যনাথ আগেও মুসলিম বিরোধী মন্তব্য করে সংবাদ শিরোনামে এসেছেন। গোরক্ষপুরের এমপি থাকার সময়ে তিনিই শেষ কথা বলতেন। তিনি যেটা বলতেন কার্যত সেটাই নিয়ম এবং আইন হয়ে এসেছে। এজন্য তার সমর্থকরা শ্লোগান দিয়ে থাকেন ‘গোরক্ষপুর মে রহনা হ্যায় তো যোগী যোগী কহনা হ্যায়।’ তার প্রচেষ্টাতেই গোরক্ষপুরের কয়েকটি ঐতিহাসিক জনপদের নাম পরিবর্তন হয়ে গেছে। এখানকার ‘আলী নগর’ হয়েছে ‘আর্যনগর’। ‘উর্দু বাজার’ এর বদলে এখন নাম হয়েছে ‘ হিন্দি বাজার’। ‘মিয়াঁ বাজার’ পরিণত হয়েছে ‘মায়া বাজার’-এ।
শরিয়া আইনে আদালত হস্তক্ষেপ করছে বলে মুসলিমরা অভিযোগ করলে আদিত্যনাথ বলেছিলেন, ‘শরীয়া আইনে হস্তক্ষেপ না করার দাবি ওঠানো লোকদের এমন দেশে চলে যাওয়া উচিত যেখানে ওই আইন চালু আছে।’ যোগ ব্যায়ামে সূর্য প্রণাম নিয়ে মুসলিমরা আপত্তি জানালে যোগী আদিত্যনাথ মন্তব্য করে বলেছিলেন, ‘যারা সূর্য প্রণাম করতে অস্বীকার করছেন, তাদের সাগরের পানিতে ডুবে মরা উচিত।’ কথিত ‘লাভ জিহাদ’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ওরা যদি এক হিন্দু মেয়ের ধর্ম পরিবর্তন করায় তাহলে আমরা ১০০ মুসলিম মেয়ের ধর্ম পরিবর্তন করাবো।’
উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসার পরেই আদিত্যনাথ সেখানে অবৈধ কসাইখানা বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছেন। এমপি থাকার সময় তিনি গরুকে ‘রাষ্ট্র মাতা’ ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করেছিলেন।
সূত্র: পার্সটুডে
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই